ভবনের নাম নিয়ে বিভ্রান্তিতে রাবির ভর্তিপরীক্ষার্থীরা

কয়েক বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্রে লেখা ভবনের নামের সঙ্গে ভবনের নেমপ্লেটের নামের গরমিলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2017, 06:44 AM
Updated : 23 Oct 2017, 07:27 AM

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পরীক্ষার প্রবেশপত্রে কেন্দ্রের নাম ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ লেখা হলেও ভবনের নেমপ্লেটে লেখা রয়েছে ‘রবীন্দ্র ভবন’।

‘রবীন্দ্র ভবনে’ আসার পর ভর্তিপরীক্ষার্থীরা ‘রবীন্দ্র কলাভবনের’ খোঁজে আশপাশে ঘোরাঘুরি করে, অন্যদের কাছে খোঁজ চায়।

হেল্প ডেস্কের লোকজনসহ স্থানীয়রা ‘রবীন্দ্র ভবনকে’ ‘এটাই রবীন্দ্র কলাভবন’ বলে জানালেও নবাগত হিসেবে ভর্তিপরীক্ষার্থীরা অস্বস্তি বোধ করেন।

ভর্তিপরীক্ষার্থী ওয়াহিদা আক্তার বলেন, “আমরা এখানে নতুন। এসেছি অনেক দূর থেকে। এখানকার ভবনগুলোর অবস্থান জানি না। ভবনের নামের সঙ্গে প্রবেশপত্রে লেখা ভবনের নামের মিল থাকবে এটাই স্বাভাবিক।”

সিলেট থেকে আসা অরণ্য রনি বলেন, “হেল্প ডেস্কের নির্দেশনা অনুযায়ী এখানে আসলেও মনে করেছি যে ‘রবীন্দ্র ভবন’ আর ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ আলাদা। ভেবেছি যে ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ ভিন্ন একটি ভবন হতে পারে।

“এজন্য ‘রবীন্দ্র ভবনের’ সামনে দাঁড়িয়ে ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ কোথায় আছে সেটা ভাবছি। অথচ ‘রবীন্দ্র ভবন’ আর ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ একই। এটা নিয়ে আমরা সত্যিই বিব্রত।”

অনেকেই বলছে, “দূর থেকে এসেছি। বিভ্রান্তিকর তথ্য দেবেন না, প্লিজ! আমাদের প্রবেশপত্রে লেখা ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ আর এ ভবনের নাম ‘রবীন্দ্র ভবন’।”

এ বিষয়ে হেল্প ডেস্কে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দা মোহসিবা মোস্তারী মিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রবীন্দ্র ভবনের সামনে বসে আমাদের বলতে হচ্ছে, এটা রবীন্দ্র কলাভবন। তবু অনেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না যে এটা বরীন্দ্র কলাভবন।”

কয়েক বছর ধরেই এ ভবনটির নাম নিয়ে ভর্তিপরীক্ষার্থীরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে বলে মিমসহ বহু শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা বলেন, “হেল্প ডেস্ক আছে। সেখান থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভবনে লেখা নামটিই প্রবেশপত্রে লেখা থাকলে ভর্তিচ্ছুদের জন্য সুবিধা হত।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের অনেক সেচ্ছ্বাসেবক আছেন, তারা ভর্তিচ্ছুদের সহায়তা করছেন। এ ভবনের নাম খুব শিগগিরই ঠিক করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রোববার ভর্তিপরীক্ষা শুরু হয়েছে, চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।