ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট কাটেনি

টানা বৃষ্টি, স্থানে স্থানে খানাখন্দ ও চার লেনের কাজ চলার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুই দিন ধরে যানজট অব্যাহত রয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিটাঙ্গাইল ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2017, 07:32 AM
Updated : 22 Oct 2017, 12:51 PM

রোববার বৃষ্টি না থাকলেও মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে দেওহাটা সেতুএবং টাঙ্গাইল থেকে এলেঙ্গা সড়কে যানজট রয়েছে। খুব ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করছে।

শনিবারও এ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট ছিল। যানজটের কারণে রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন, মহাসড়কের চার লেনের কাজ চলায় প্রায় প্রতিদিনই এ মহাসড়কে যাজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তার সঙ্গে টানা তিনদিনের বৃষ্টি ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার ওসি মোহাম্মদ আসাবুর রহমান বলেন, চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী যান ধীরগতিতে চলছে।

“ফলে গাড়ির চাপ বেড়ে এ সড়কের প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে।”

মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে দেওহাটা সেতু পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে বলে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইফতেখার নাসির জানান।      

“এমনিতেই এ মহসড়ক খানাখন্দে ভরা; এরসঙ্গে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে এ সড়কে দিয়ে গাড়ি চলছে অনেক ধীর গতিতে।”

এদিকে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত অন্তত নয় কিলোমিটার এলাকার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন।

“অপরিকল্পিতভাবে চার লেনের কাজ চলায় এ সড়কে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হয়। এখন বৃষ্টিতে খানাখন্দ বেড়ে যাওয়ায় গাড়ি থেমে থেমে চলায় যানজট আরও বেড়ে গেছে।”

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার ওসি মোহাম্মদ আসাবুর রহমান বলেন, জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে। বিকালের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেনের মির্জাপুর অংশে প্রথম কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালের মধ্যে এ প্রকল্প শেষ করার কথা রয়েছে।