শনিবার জলঢাকা উপজেলায় নব-নর্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু বলেন, দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অন্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কাটেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।
“পরে আলোচনা সভার জন্য নির্ধারিত মঞ্চে উঠেন মন্ত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। জলঢাকার ইউএনও রাশেদুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে ওই সভায় এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী বক্তৃতা দেন। এর পরপরই মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই সভাস্থল ত্যাগ করেন।”
নিজেকে জামায়াতের কেউ না দাবি করে সৈয়দ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া আমন্ত্রণপত্র পেয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। পরিকল্পিতভাবে আমাকে এ রকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছে।”
এ বিষয়ে ইউএনও রাশেদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
অনুষ্ঠানে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুজিবুর রহমান, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।