শার্শা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় পোতাপাড়া গ্রামের ওপর দিয়ে ঝড়টি বয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শতাধিক বাড়ি বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো ঘরের চাল উড়ে গেছে, কোনো ঘর মাটিতে পড়ে গেছে। হাজারের বেশি গাছ উপড়ে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
চেয়ারম্যান সোহারাব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক মিনিটের ঝড়টি পুরো গ্রাম লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে। অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি আর সহস্রাধিক বড় গাছ উপড়ে বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে গ্রামটি। এমন ঝড় আমি আমার জীবনে দেখিনি।”
ঝড়ের কোনো শব্দ বা পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি বলে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে।
ওই গ্রামের শাহানারা বেগম বলেন, “আমরা কেউ শুয়ে ছিলাম, কেউ বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম যে সবকিছু উড়ে গেল। আর গাছপালা শুয়ে পড়ল। আমরা বাড়ির ছয়ডা মানুষ ডালপালার নিচে চাপা পড়লাম।”
কুলসুম বেগমের ঘরটি উড়ে গিয়ে গাছে ধাক্কা খেয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, “আমি পড়ে গিয়ে দেখলাম যে কিসে যেন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমি একটা কলাগাছ জড়িয়ে ধরলাম। কিন্তু আবারও আমাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল।”
লাকি খাতুন তার ঘরের সব টিন উড়ে গেলেও একটাও খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “হঠাৎ করে একটা ঝড় এসে সব তুলোধুনা করে দিয়ে গেছে। গাছপালা, ঘরবাড়ি সব ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।”
স্থানীয় শিশু কানন কিন্ডার গার্টেনের চাল উড়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সোহরব হোসেন।
উপজেলা প্রশাসন খবর পেলেও শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত তারা কেউ ঘটনাস্থলে যায়নি।
উপজেলা ভূমি কমিশনার (ল্যান্ড) ওয়াদুদুর রহমান বলেন, ইউএনও ছুটিতে আছেন। তবে খবর পাওয়ার পর সেখানে লোক ‘পাঠানো হচ্ছে’।