জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভায় বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরা হলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক টিপু, বিজ্ঞান ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রহমান মামুন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাহার আলী, সদস্য আব্দুস সালাম, আব্দুস সোবহান, সদস্য ও তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ ও যোগীপাড়া ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে জঙ্গি ও চরমপন্থিদের মদদদানসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয় ‘বাগমারা আওয়ামী লীগ’ ব্যানারে।
ওই সংবাদ বাগমারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ ১১ জন নেতা অংশ নেন।
আসাদুজ্জামান আসাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনের পরদিন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ডেকে সান্টুসহ ১১ জনকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে জেলা কমিটিতে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, এমপির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে তারা দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করেছেন। এ অভিযোগে ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। গত ১২ অক্টোবর তারা নোটিশের জবাব দেন।
“পরদিন তা দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপস্থাপন করে জেলা আওয়ামী লীগ। ওইদিন কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে রাজশাহীর নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতারা জেলা কমিটিতে ১১ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপারিশ আকারে কেন্দ্রে পাঠাতে নির্দেশনা দেন।”
একই সঙ্গে কেন্দ্র থেকে কোনো নিদের্শনা না যাওয়া পর্যন্ত তাদের নামে দলীয় চিঠি ইস্যু না করতেও জেলা কমিটিকে নির্দেশনা দেন বলেও জানান আসাদ।
তিনি জানান, এরপর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নয় জনকে তাদের স্ব-স্ব পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা অনুমোদনের জন্য সুপারিশ আকারে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
“কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা কমিটির সদস্য জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে নির্বাহী কমিটির সভায় ডাকা হয়নি।”
তবে ১১ জনের মধ্যে দুইজন ওই সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না বলে তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে আসাদ জানান।