টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর ১৪ গ্রাম প্লাবিত

নিম্মচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে; অর্ধশত চরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে বহু পুকুর ও মাছের ঘের।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2017, 04:18 AM
Updated : 21 Oct 2017, 06:04 AM

কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তারেকুজ্জামান তারা জানান, তার ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারিপাড়া ও পশরবুনিয়া পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকে আট গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেগুলো হল - লালুয়া, চারিপাড়া, নাওয়াপাড়া, পশরবুনিয়া, গাজীর খাল, বানাতিপাড়া, মুন্সিপাড়া ও ডঙ্কুপাড়া গ্রাম।

তিনি জানান, এসব গ্রামে পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। রাস্তাঘাট, বাড়িঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় এসব গ্রামের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এছাড়া মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। এসব গ্রামের মধ্যে রয়েছে নিজামপুর, কোমরপুর, সুধিরপুর, পুরান মহিপুর প্রভৃতি।

জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় পায়রা নদীর কালিকাপুর এলাকায় নদীভাঙনে সাত-আট মিটার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

তবে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বৃদ্ধি বেশি হলেও এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে বলেও তিনি জানান।

পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

পটুয়াখালী নদী বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অন্ত্যন্তরীণ নৌপথে ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে দুর্ভোগ। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুকির মধ্যে  রয়েছে। সেখানে লোকজন লাগানো হয়েছে বেড়িবাঁধটি ভেঙে যেন গ্রামে পানি ঢুকতে না পারে।

নিম্নচাপের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বাড়ায় জেলার অর্ধশত চর প্লাবিত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে শত শত মাছের ঘের ও পুকুর। টানা বর্ষণে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।