মৃত মাহবুব আলী চৌধুরী ওরফে মুনির চৌধুরী (৬৩) নকলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে নকলা পৌর শহরের কর্শাবাদাগৈর এলাকার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে নকলা থানার ওসি তরফদার আব্দুল হালিম জানান।
তিনি বলেন, “সকাল মাহবুব আলীর পরিবারের লোকজনের কাছে খবর পেয়ে তার বাড়ি যায় পুলিশ। সেখানে তার শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান তারা। ”
পরে তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি হালিম বলেন, তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ছেলে রাব্বী নূর চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
ওসি হালিম আরও বলেন, শেরপুর সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্তের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই তার নকলার চরভাবনা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মাহবুব আলী নকলা উপজেলার চর অষ্টাধর ইউনিয়নের চরবামনা গ্রামের জুনাব আলী চৌধুরীর ছেলে এবং জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ জাহেদ আলী চৌধুরীর ছোট ভাই।
বিএনপির এ নেতা ২০১৪ সালে নকলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। এর আগে পাঁচবার চরঅষ্টাধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এছাড়া ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন মাহবুব।