কুয়েতে নিহত ৫ জনের মরদেহ কমলগঞ্জ পৌঁছেছে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী জুনায়েদের স্ত্রী ও চার সন্তানের মরদেহ কান্দিগাঁও গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2017, 12:16 PM
Updated : 19 Oct 2017, 12:16 PM

বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে তাদের লাশ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পৌঁছে।

এরা হলেন কুয়েত প্রবাসী মো. জুনায়েদের দুই ছেলে এমা ও ফাহাদ, দুই মেয়ে জামিলা ও নাবিলা এবং স্ত্রী রোকেয়া বেগম।

মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বাড়ি পৌঁছলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা কান্নায়  ভেঙে পড়েন।  

গত সোমবার কুয়েতের সালমিয়ার পাঁচগাতা এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এদের মৃত্যু হয়। 

কমলগঞ্জের ইউএনও মাহমুদুল হক জানান, স্থানীয় সফাত আলী মাদ্রাসা মাঠে রাত সাড়ে ৮টায় জানাজা হবে। পরে গ্রামের কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে।

কান্দিগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছে।

তিনি জানান, ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শাহাব উদ্দীন, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, বাংলাদেশ প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রাণালয়ের পরিচালক (অর্থ) মো. শফিকুর রহমান, সহকারী পরিচারক মোস্তফিজুর রহমান, বাংলাদেশ কমিনিউটি সংগঠনের মিটুন সেলিম, ব্যবসায়ী ইমরান ফারুক প্রমুখ।

মরদেহের সঙ্গে এসেছেন স্বজনহারা জুনায়েদ আহমদ।

জুনায়েদ জানান, বুধবার বাদ আসর কুয়েত আল সাবাহ হাসপাতালে তাদের জানাজার নামাজ শেষে কুয়েত থেকে মরদেহবাহী বিমান বিজি ০০৪৪ বাংলাদেশর উদ্দেশে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১০ মিনিটে রওনা হয়।

বিকালে বাড়িতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, কমলগঞ্জের ইউএনও মাহমুদুল হক, কুয়েত থেকে আসা মিঠুন সেলিম, কুয়েত প্রবাসী মো. ইমাদ প্রমুখ।

জুনায়েদের স্বজনরা জানান, কুয়েতের সালমিয়াতে একটি পাঁচতলা ভবনে পরিবার নিয়ে থাকতেন জুনায়েদ। সোমবার ভবনটির পঞ্চম তলায় এসি বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়। ওই সময় জুনায়েদ বাসায় ছিলেন না।

জুনায়েদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা না করলে তিন দিনে লাশ আনা সম্ভব হতো না।

কান্দিগঁও গ্রামে জুনায়েদের প্রতিবেশী মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন জানান, বাড়িতে জুনায়েদের বৃদ্ধা মা মরিয়ম বিবি ছাড়া কেউ নেই। জুনেদের অপর দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন জুবের সপরিবারে আমেরিকা ও আরেকজন সোয়েব সপরিবারে লন্ডন বসবাস করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে জুনায়েদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম সন্তানদের নিয়ে দেশে এসেছিলেন।

১৭ বছর আগে জুনায়েদ ও রোকেয়ার বিয়ে হয়। রোকেয়ার বাবার বাড়ি মৌলভীবাজার সদরের চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের গুজারাই এলাকায়।