সিদ্ধিরগঞ্জের সেই ওসি হলেন বিশেষ শাখার পরিদর্শক

বিধবা নারীর ভাইসহ তিনজনকে মাদক দিয়ে ফাঁসানো, জমি দখলে সহায়তা ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার হওয়ার পর এক মাসের মধ্যেই গুরুত্পূর্ণ পদে ফিরলেও এবার একটি বিভাগের প্রধান হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বির্তকিত সেই ওসি সরাফত উল্লাহ।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2017, 05:39 AM
Updated : 19 Oct 2017, 08:14 AM

পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, গত সোমবার সরাফত উল্লাহ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআই-১) হিসেবে যোগ দেন।

গত ২৩ মে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়ার পর ১৩ জুন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিআই-২ পদে যোগ দিয়েছিলেন।

এই পদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, ডিআই-১ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। এ পদে যারা থাকেন তাদের জেলার গোয়েন্দা নজরদারি, ভিআইপি প্রটোকল, বড় বড় ইস্যুতে গোয়েন্দা তৎপরতা ও প্রতিবেদন, পাসপোর্ট ভেরিফিরেকশন, চাকরির তথ্য যাচাই, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

একজন বির্তকিত কর্মকর্তা কিভাবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক হলেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, “পদায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে হিসেবে তিনি ওই পদে যোগ দিয়েছেন।”

তিনি এর বেশি কিছু বলতে চাননি।

সরাফত উল্লাহ বুধবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত সোমবার ডিআই-২ থেকে পদোন্নতি পেয়ে ডিআই-১ হিসেবে কাজ শুরু করেছি।”

এর আগে এ পদে ছিলেন সাত খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল। তিনি পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে যোগ দিয়েছেন।

সরাফত উল্লাহসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর পাশাপাশি জমি দখলে ভূমিদস্যুদের সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে কয়েক মাস আগে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর আসার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়।

কমিটি সরাফত উল্লাহ, পরিদর্শক আবুল হোসেন এবং এসআই ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ২৩ মে তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এরপর এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৩ জুন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিআই-২ পদে যোগ দেন সরাফত উল্লাহ।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ওসি সরাফত উল্লাহর বিরুদ্ধে পরিবহনে চাঁদাবাজি, জমি দখলে সহায়তা, চোরাই তেলের ব্যবসা থেকে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।