বুধবার টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম নাছিমুল আক্তার এ কথা জানান।
গত ২৫ অগাস্ট রাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় রূপার লাশ পাওয়া যায়।
ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজের ছাত্রী রূপা একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়। ওই দিন বগুড়ায় একটি পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন তিনি।
রূপা যে বাসে আসছিলেন সেই ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজারসহ পাঁচজন গ্রেপ্তারের পর রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১৫ অক্টোবর পাঁচ পরিবহন শ্রমিককে আসামি করে রূপা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পিপি নাছিমুল বলেন, “কলেজছাত্রী রুপা হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর, তাই দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। অভিযোগপত্র গ্রহণের তারিখ এগিয়ে আনতে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়।
“এরই প্রেক্ষিতে ওই আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান মামলার নথি তলব করেন। বিকালে শুনানি শেষে ২৫ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন।”
পাঁচ পরিবহন শ্রমিকদের সবাই বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন।