এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেন ওই কিশোরী।
মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পাঁচপয়লা গ্রামের হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী।
কিশোরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার বাবা দিনমজুরি করে জীবিকা চালান।
“হারুন অর রশিদ বিয়ের কথা বলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হলে হারুন টালবাহানা করেন। গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানলেও হারুন প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস করেনি।”
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী ছেলেসন্তান জন্ম দিলে তার পরিবার বিচার চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে যান জানিয়ে কিশোরী অভিযোগ করেন, “বিচার তো হয়ইনি, উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে হারুনের স্বজনরা।”
জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার না পেয়ে ওই কিশোরী গত ৬ অক্টোবর মেলান্দহ থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে তার অভিযোগ।
মেলান্দহ থানার ওসি মাজহারুল করিম বলছেন, থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেছে কিনা তা তার জানা নেই।
“তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন বলে শুনেছি। কেউ অভিযোগ করলে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা নেওয়া হবে।”
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দাবি করেন, “বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।”
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, “ধর্ষণকারীর প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকির কারণে মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।”