তেঁতুলিয়ায় ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরীর আত্মহত্যা: লাশ উত্তোলন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ‘ধর্ষণের শিকার’ হয়ে অত্মহত্যাকারী স্কুলছাত্রী রহিমা আক্তার সোনিয়ার লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2017, 12:09 PM
Updated : 17 Oct 2017, 01:13 PM

এছাড়া এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই যুবক মনসুর আলী রাজন ও আতিকুর রহমান আতিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেঁতুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সবুর জানান, আদালতের নির্দেশে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সোনিয়ার লাশ কবর থেকে তুলে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তেঁতুলিয়ার কাজী শাহাবুদ্দিন গার্লম স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সোনিয়া গত মঙ্গলবার ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন।

তাদের বাড়ি তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের কালারাম জোত গ্রামে।

সোনিয়ার মা সেলিনা বেগম গত শনিবার সম্ভ্রমহানি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় মনসুর আলী রাজন ও ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

পরিদর্শক আব্দুস সবুর জানান, একই আদালতে সোমবার আত্মসমর্পণকারী দুই আসামি রাজন ও আতিককে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত উভয়ের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।

তেঁতুলিয়া থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, সোনিয়ার আত্মহত্যার ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদন ও আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রায় ৩ মাস আগে সোনিয়া তার অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় সহায়তার কথা বরে রাজন মোটরসাইকেলে তুলে তাকে উপজেলা সদরে আতিকের বাসায় নিয়ে যায়।

“সেখানে রাজন তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় আতিক মোবাইল ফোনে তা ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে আতিক ধর্ষণ করে।”

এরপর ওই দুজনই অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করা ও মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বার বার ধর্ষণ করে আসছিল।