সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রোববার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারী মামলাটি করেন বলে তার আইনজীবী শাহ আলম ডেভিড জানান।
মামলার আসামিরা হলেন, সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন, মকবুল হোসেন ও ফরিদুল ইসলাম নামে স্থানীয় দুই যুবক।
আইনজীবী ডেভিড বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছে।
তবে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান আবু হেনা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার কারণে ৩০ বয়সী ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জ-পাবনা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন।
“কিছুদিন আগে বিধবার সঙ্গে তার প্রতিবেশী ফরিদুলের প্রেমের সর্ম্পক হয়। এ সুযোগে ফরিদুল তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেয়।
সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ফরিদুল বিধবাকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা, তার সহযোগী মকবুল ও ফরিদুল তাকে ধর্ষণ করে।”
এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে দিয়ে এসব করাচ্ছেন।”