জেলার টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন খান জানান, সোমবার ভোরে টেকনাফ উপজেলায় শাহপরীর দ্বীপের ডাঙ্গাপাড়া পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ নারী, ছয় শিশু ও একজন পুরুষ। তাদের মধ্যে দশজনের লাশ উদ্ধার করা হয় ঘটনার পরপরই। বেলা পৌনে ২টার দিকে আরও দুইজনের লাশ উদ্ধারের খবর দেন কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কনটিনজেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জাফর ইনাম সজীব।
ওসি মাইনউদ্দিন ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের বরাতে বলেন, নৌকাটিকে ৬৫ জন্য যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
সেই হিসেবে এখনও ৩১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নৌকাডুবির পর কোস্টগার্ড, পুলিশ ও স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে বলে জানান ওসি মাইনউদ্দিন।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পথে নৌকা ডুবে প্রতি সপ্তাহেই রোহিঙ্গারা হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
এর মধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর ৮০ জনকে বহনকারী একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনের বেশি এবং ৮ অক্টোবর আরেক দুর্ঘটনায় ৩০ জনের বেশি মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়।
গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেদেশের সেনাবাহিনী মুসলিম রোহিঙ্গাদের দমন অভিযান শুরুর পর পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে থেকে বাংলাদেশে রয়েছে আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা।