রূপা হত্যার অভিযোগপত্রে ৫ পরিবহন শ্রমিক আসামি

পাঁচ পরিবহন শ্রমিককে আসামি করে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিটাঙ্গাইল ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2017, 03:49 PM
Updated : 15 Oct 2017, 04:22 PM

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলাম জানান, রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসমিরা হলেন ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫), সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯)।

এসপি মাহবুব আলম বলেন, “চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শেষ করা হয়েছিল আগেই। শুধু অপেক্ষায় ছিলাম ডিএনএ প্রতিবেদনের। গত বুধবার ডিএনএ প্রতিবেদন আমাদের হাতে আসে।” 

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তাদের বিরুদ্ধে দলবেঁধে ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ২৫ অগাস্ট রাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় রূপার লাশ পাওয়া যায়।

কিন্তু পরিচয় জানতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বিকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।

গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই হাফিজুর রহমান।

হাফিজুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে ২৫ অগাস্ট বগুড়ায় যান তার বোন। পরীক্ষা শেষে এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহগামী ছোঁয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) বাসে ওঠেন।

ওই সহকর্মীর কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় তিনি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় নেমে যান। আর ওই বাসেই রূপার ময়মনসিংহে পৌঁছানোর কথা ছিল।

পরদিন সকালেও রূপা ময়মনসিংহে কর্মস্থলে না যাওয়ায় তার অফিস থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের কাছ থেকে রূপার নিখোঁজ থাকার কথা জানতে পেরে স্বজনরা ময়মনসিংহ কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে মধুপুরে একটি লাশ পাওয়ার খবর মিডিয়ায় দেখে থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

রূপার পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর সোমবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজার, সহকারীসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।তারা রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজের ছাত্রী রূপা একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়। ওই দিন বগুড়ায় একটি পরীক্ষা দিয়ে সেখান থেকে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে নিহত হন তিনি।