বগুড়ার সেই জমি দখলমুক্ত করল প্রশাসন

বগুড়া শহরের সাতমাথায় মাড়োয়ারি ধর্মশালার নামে ঘিরে নেওয়া ২২ শতক জমি দখলমুক্ত করেছে জেলা প্রশাসন।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2017, 01:17 PM
Updated : 14 Oct 2017, 01:17 PM

শনিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে জমিটি দখলমুক্ত করা হয়।

এ সময় সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একদল লোক স্টিল সিট দিয়ে জায়গাটি ঘিরে দখল করে। এতে ভিতরে রূপালী ব্যাংক জোনাল শাখাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

স্টিল শিট দিয়ে জমিটি ঘিরে নামফলক লাগানো হয়

এরপর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দখলকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে কাগজপত্র দেখাতে বলেন।

কিন্তু তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় শনিবার সকালের মধ্যে জায়গাটির দখল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল হাসান রুমি।   

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) হাবিবুল হাসান রুমি জানান, বর্তমানে এ সম্পত্তি অর্পিত ‘ক’ তালিকাভুক্ত। ভুলক্রমে হোল্ডিং খুলে খাজনা আদায় করা হলেও ১৪২১ সাল থেকে তা বন্ধ হয়ে গেছে। মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ সম্পত্তি সরকারের। এখানে থাকা সকল স্থাপনা অবৈধ।

হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, “মাড়োয়ারি সম্পত্তির নামে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসক এ জমির কাস্টডিয়ান।”

বগুড়া সদর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে জানা যায়, সূত্রাপুর মৌজার ২২ শতাংশ সম্পত্তি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা হয়। ১৯৬২ সালে রমজান আলীর নামে খতিয়ান হয়। সরকার ১৯৭৬ সালে সম্পত্তিটি খাস ঘোষণার উদ্যোগ নেয়। সরকারের এ উদ্যোগের প্রেক্ষিতে ওই বছর সম্পত্তিটি মাড়োয়ারি ধর্মশালার দাবি করে আদালতে একটি মামলা করা হয়। ২০০৩ সালে মাড়োয়ারি ধর্মশালার পক্ষে পৃথক একটি রিটও হয়েছিল। পরে সে রিট খারিজ হয়ে যায়। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মাড়োয়ারি ধর্মশালার পক্ষে বগুড়ার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অবমুক্ত মামলা করা হয়। আগামী ২৯ অক্টোবর এ মামলার শুনানির দিন ধার্য আছে।

তবে মাড়োয়ারি ধর্মশালা কমিটির সভাপতি কল্যাণ প্রসাদ পোদ্দার দাবি করেন, তারা গত ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি ধর্মশালার পক্ষে আদালতের রায় পেয়েছেন এবং পরে অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্ত করতে আদালতে পৃথক মামলা করেছেন।