শনিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে জমিটি দখলমুক্ত করা হয়।
এ সময় সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একদল লোক স্টিল সিট দিয়ে জায়গাটি ঘিরে দখল করে। এতে ভিতরে রূপালী ব্যাংক জোনাল শাখাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
কিন্তু তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় শনিবার সকালের মধ্যে জায়গাটির দখল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল হাসান রুমি।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) হাবিবুল হাসান রুমি জানান, বর্তমানে এ সম্পত্তি অর্পিত ‘ক’ তালিকাভুক্ত। ভুলক্রমে হোল্ডিং খুলে খাজনা আদায় করা হলেও ১৪২১ সাল থেকে তা বন্ধ হয়ে গেছে। মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ সম্পত্তি সরকারের। এখানে থাকা সকল স্থাপনা অবৈধ।
হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, “মাড়োয়ারি সম্পত্তির নামে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসক এ জমির কাস্টডিয়ান।”
তবে মাড়োয়ারি ধর্মশালা কমিটির সভাপতি কল্যাণ প্রসাদ পোদ্দার দাবি করেন, তারা গত ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি ধর্মশালার পক্ষে আদালতের রায় পেয়েছেন এবং পরে অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্ত করতে আদালতে পৃথক মামলা করেছেন।