‘ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের হুমকিতে আত্মহত্যা’, চারদিন পর মামলা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ‘ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের হুমকির পর এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার’ চারদিন পর মামলা হয়েছে।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2017, 12:55 PM
Updated : 14 Oct 2017, 12:56 PM

তেঁতুলিয়া থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, শনিবার ওই ছাত্রীর মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মনসুর আলী রাজন ও আতিকুর রহমান আতিককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (ক) ধারা অর্থাৎ সম্ভ্রমহানি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন।

রাজন হাসপাতালে (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয়) চাকরি করেন। আর আতিক স্থানীয় বাজারে মোবাইল ফোনে টাকা লোডের ব্যবসা করেন।

ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ এবং সেই ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে তিনমাস ধরে ধর্ষণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার আত্মহত্যা করে স্কুলছাত্রী রহিমা আক্তার সোনিয়া।

সোনিয়া তেঁতুলিয়ার কাজী শাহাবুদ্দিন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের কালারাম জোত গ্রামে।

আসামিরা ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান ওসি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই ওষুধ দেওয়ার কথা বলে কৌশলে সোনিয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাজন। কিন্তু সেখানে না গিয়ে আতিকের উপজেলা প্রশাসনের কোয়ার্টারের বাসায় নিয়ে যায়। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে সোনিয়াকে একাধিকবার ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে নগ্ন ছবি তুলে রাখে রাজন ও আতিক।

“এসব ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে সোনিয়াকে গত প্রায় ৩ মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। পড়ালেখায় অমনোযোগিতা ও নীরবতা দেখে সোনিয়াকে বহুবার জিজ্ঞাসা করলে সোমবার সে ঘটনা সবাইকে জানায় এবং পরদিন আত্মহত্যা করে।”

সোনিয়ার মামা ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, “আসামিদের আত্মীয়-স্বজনরা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ”