নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে নেত্রকোণা মডেল থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নিহত দম্পতির একমাত্র ছেলে সুমন বিশ্বাস মামলাটি করেন বলে জানান তিনি।
শুক্রবার দুপুরে শহরের সাতপাই বাবলু সরণির বাড়ি থেকে বিএডিসির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মিহির বিশ্বাস (৬৫) ও তার স্ত্রী সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী তুলিকা চন্দ ওরফে সবিতা বিশ্বাসের (৫৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশের কয়েকটি টিম রাতে অভিযান পরিচালনা করছে। আশা করছি ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ খুনও ডাকাতিতে জড়িতদের ধরা সম্ভব হবে।”
নেত্রকোণা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন বলেন, মিহিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৎস্য বিভাগের কর্মচারী রাজীব পণ্ডিত শুক্রবার দুপুরে খেয়াল করেন, দুই দিন ধরে ওই দম্পতির কোনো সাড়া নেই।
পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি খাটের ওপর মিহিরের লাশ এবং ডায়নিংরুমের চেয়ারের পাশে সবিতার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরের আলমারি ও ওয়র্ডরোব ছিল ভাঙা। বিছানার ওপর জিনিসপত্র ছড়ানো-ছিটানো ছিল।
পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, “অন্তত দুই দিন আগে এই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনায় রেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত খুনি ধরা সম্ভব হবে।”
তবে কীভাবে ওই দম্পতিকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রতিবেশী মুক্তা দে বলেন, ওই দম্পতিকে সবাই নিরীহ হিসেবেই জানত। এলাকায় কারও সঙ্গে কোনো বিবাদ ছিল না তাদের।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরশহরের নিজেদের বাসায় খুন হন ব্যবসায়ী অরুণ কুমার সাহা ও তার স্ত্রী হেনা রাণী সাহা। পুলিশ এখনও সে হত্যাকাণ্ডেরও কিনারা করতে পারেনি।