সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, চুল কর্তন

‘জমি বিক্রি না করায়’ সাতক্ষীরায় দুই সন্তানের জননীকে অর্ধনগ্ন করে গাছে বেঁধে পিটিয়েছে স্থানীয় কয়েকজন। এ সময় তারা ওই নারীর চুলও কেটে দেয়।

শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2017, 05:51 PM
Updated : 13 Oct 2017, 05:51 PM

সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ জানান, শুক্রবার সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ দেলোওয়ার হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবককে আটক করেছে বলে জানান তিনি।

চুপড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এই নারীর ভাসুর সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১১টার দিকে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় হঠাৎ পিছন দিক থেকে তার মুখ বেঁধে ফেলে কয়েকজন যুবক।

“ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা তার মুখে ট্যাবলেট জাতীয় কিছু ঢুকিয়ে দেয়। পরে তিনি সেটি মুখ থেকে ফেলে দেন। তবে এরপর তার আর কিছু মনে নেই বলে জানিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, পরে খবর পেয়ে তারা গিয়ে দেখেন তার পরনের শাড়ি খুলে একটি গাছের সঙ্গে তাকে বাঁধা হয়েছে। ওই শাড়ি দিয়েই মুখ, দুই হাত ও দুই পাও বাঁধা ছিল। তার চুলও কেটে দেয় তারা।

পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে তিনি জানান।

গৃহবধূর ভাসুর আরও বলেন, তাদের পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছিল মাহাবুবুর রহমান।

এ কারণেই তার ভ্রাতৃবধূর উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে তার ধারণা।

হাসপাতালে নেওয়ার পর জ্ঞান ফিরলে ওই গৃহবধূ বলেন, তিনি যখন ঘাস কাটছিলেন তখন তার আশপাশে একই গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে দেলোওয়ার হোসেন ও গোলাম পরোয়ার ঘোরাঘুরি করছিল।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য এরশাদ আলী ও ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়েই বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছেন।

তারা দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।  

ওসি মারুফ আহমেদ বলেন, “ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দেলোওয়ারকে আটক করা হয়েছে।”

নির্যাতিত গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।