মহেশখালীতে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ‘আসামী ছিনতাই’ করতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2017, 02:42 PM
Updated : 13 Oct 2017, 02:42 PM

তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এটি অস্বীকার করে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনা সাজানোর অভিযোগ তুলেছেন।

শুক্রবার বিকালে কালারমারছড়া ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে।

কালারমারছড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা (২৮) এবং গোলাম মোস্তফা (৩০) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, বিকাল ৫টার দিকে কালারমারছড়া ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি মোহাম্মদ মোস্তফাকে (২৮) গ্রেপ্তার করে।

“খবর পেয়ে তার সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।”

ওসি বলেন, হামলাকারীরা মোস্তফাকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা চালায়। এতে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে আট রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

হামলাকারীরা ১২ রাউন্ড গুলি ভরতি একটি রাইফেলের ম্যাগজিন লুট করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন ওসি।

কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই গাজী রাজু আহমেদ, এএসআই মোহাম্মদ অহিদ ও কনস্টেবল মোহাম্মদ পারভেজ আহত হয়েচেন উল্লেখ করে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি প্রদীপ।

এদিকে, কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ পুলিশের উপর হামলার কথা অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, আসামি ছিনিতাই চেষ্টার অভিযোগ তুলে পুলিশ প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, “শুক্রবার জুমার নামাজের পর আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করি। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা ও কালারমারছড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফাও সেখানে ছিলেন।

“এক পর্যায়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই গাজী রাজু আহমদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এসে লোকজনকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দিতে বলেন। এরপর লোকজনসহ বের হয়ে আমরা আমার শ্বশুড় বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে যেই।”

চ্যোরম্যান  বলেন, শ্বশুর বাড়িতে আবস্থানকালে খবর পান পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদে ভাংচুর চালিয়ে মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করেছে।

“আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিষদের দরজা-জানালা ভাংচুরের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।”

এতে স্থানীয় আট জন আহত হয়েছেন এবং আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি করেন চ্যোরম্যান।

গুলি ভরতি রাইফেলের ম্যাগজিন লুটের ঘটনা পুলিশের সাজানো দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বলেন, প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পুলিশ নাটক সাজিয়েছে।

“সপ্তাহখানেক আগে কালারমারছড়া বাজারে শ্রমিক লীগের দুপক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের যোগসাজশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ।”