জেলার শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া রামনগর গ্রামের রাজু খানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন তার শ্যালক মাগুরা শহরের কাউন্সিলপাড়ার বাসিন্দা আরিফ হোসেন।
আরিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক বছর আগে তার বোন লাবণীর (২২) বিয়ের পর থেকেই রাজু যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
“সপ্তাহখানেক আগে লাবণীকে বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা আনার জন্য চাপ দেন রাজু। লাবণী টাকা দিতে অস্বীকার রাজু তাকে হত্যার করা হবে বলে হুমকি দেন।”
প্রসববেদনা শুরু হলে শুক্রবার সকালে লাবণীকে শ্রীপুরের সততা ক্লিনিকে নিয়ে যান তার স্বামী রাজু খান।
লাবণীর ভাই আরিফের অভিযোগ, “রাজুর সঙ্গে চুক্তিমোতাবেক ক্লিনিকের মালিক মোহন মিয়া ডেলিভারির সময় নবজাককে হত্যা করেন। আর লাবণীকে হত্যার জন্য তার জরায়ু ছিঁড়ে ফেলেন।”
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ আবদুল হাই বলেন, “নবজাতকের হাত ও পা ভাঙা, আর ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
সন্ধ্য ৭টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাবণী মাগুরা সদর হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন।
এ হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স সবিতা রানী সার্জনের বরাতে বলেন, “লাবণীর জরায়ুর একাধিক নাড়ি টেনে ছেঁড়া হয়েছে।”
হাসপাতালের চিকিৎসক মমতাজ মজিদ লাবণীর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন।
তবে সততা ক্লিনিকের মালিক মোহন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি শুধু ডেলিভারি করিয়েছি। হত্যার অভিযোগ সত্য নয়।”
লাবণীল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, নবজাতকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ সামগ্রিক ঘটনা তদন্ত করছে।