শহরের মালগুদাম রোড, কাচারীপাড়া, নিউ কলেজ রোড, শহীদ হারুন সড়ক, বোসপাড়া, ইকবালপুর, মিয়াপাড়া, সর্দারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কগুলোতে ছোট বড় মিলিয়ে হাতেগোনা যে কয়টি যানবাহন চলছে, সেগুলোকেও ঝুঁকিতে থাকতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সড়কে যানবাহন উল্টে যায়। অনেক সড়কে যানবাহনের গতি ধীর হওয়ায় সৃষ্টি হয় যানজটের।
পৌরসভার কাচারীপাড়ার আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই কাচারীপাড়ার সড়কগুলো হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। ড্রেনগুলো সময়মত পরিষ্কার না করায় পানি দ্রুত নামতে পারে না। ফলে ড্রেন থেকে ময়লা আবর্জনা সড়কে উঠে পড়ে।
এছাড়া রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কগুলো ভেঙ্গে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সড়কগুলো সংস্কারে পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শহরের বজরাপুর এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হাবিব জানান, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মালগুদাম রোডের একপাশে জামালপুর জংশন রেল স্টেশন। অন্যপাশে সিংহজানী খাদ্য গুদাম। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে; সেগুলোতে সারা বছরই পানি জমে থাকে।
জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি বলেন, “অতি বৃষ্টি ও বন্যায় জামালপুর পৌরসভার প্রায় সব সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতে খুব শ্রীঘ্রই দরপত্র আহবান করে কাজ শুরু করা হবে।”
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব সড়ক উন্নয়ন কাজ শেষ করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।