বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শিলাইদহের কসবা ঘাটে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে কুমারখালী থানার ওসি আব্দুল খালেকের ভাষ্য।
নিহত শাহিন আলী (৩০) কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউয়িনের নূরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।
গত মঙ্গলবার বিকালে কুমারখালীর বাধবাজার থেকে পুলিশ শাহিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় বলে তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার তন্নী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
“পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এর মধ্যেই শাহিন গুলিবিদ্ধ হয়।”
শাহিনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ডিবি পুলিশের ওসি।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে একটি বিদেশি পিস্তল , এক রাউন্ড গুলি, দুটি ধারালো অস্ত্র পাওয়া গেছে। এই অভিযানে পুলিশের চার সদস্যও আহত হয়েছেন।
এ সপ্তাহের শুরুতে কুমারখালীতে মালয়েশিয়া প্রবাসী রাকিবুল ইসলামকে (৩২) হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যে মামলা হয়েছিল, তার আট আসামির একজন ছিলেন শাহিন।
এ ঘটনায় মন্টু বিশ্বাস কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ রাকিবুলের ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম ও রাকিবুলের স্ত্রী নাইমা সুলতানা তিশাসহ পাঁচজনকে আটক করে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বৃহস্পতিবার রাকিবুল হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়ে ‘মূল রহস্য উদঘাটনের’ দাবি করেন।
তিনি বলেন, রাকিবুল বিদেশে থাকার সুযোগে রকিবুল ও তিশার মধ্যে ‘পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল’। এর জের ধরেই তারা সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাকিবুলকে খুন করায় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রকিবুল।
ডিবির ওসি ছাব্বিরুল ইসলাম বলছেন, রাকিবুলকে হত্যার জন্য তিশা ও রকিবুলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন শাহিন।
এদিকে শাহিনের স্ত্রী মৌসুমীর অভিযোগ, পুলিশ গত মঙ্গলবার বিকেলে তার স্বামীকে আটক করার পর থানায় যোগাযোগ করলে তাকে বলা হয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদ করে শাহিনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু শুক্রবার সকালে মৌসুমী খবর পান, তার স্বামী ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়েছে।