বৃহস্পতিবার ঝালকাঠির অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান চার বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মেহেদী হাসান ওরফে দুদু মিয়া (২৯) নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের আব্দুর খালেকের ছেলে।
একই সঙ্গে আসামিকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম আলম খান কামাল জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিএম কলেজের অনার (স্নাতক) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিমির গ্রামের শারমিন আক্তার যুথি তার তার চাচীর ঘর থেকে নিজের ঘরে ফিরছিলেন।
পথে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলায় আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে দুদু মিয়া মোবাইল ফোনে শমারমিনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে দুদুর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর দুদু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে শারমিনকে ভাঙ্গা গালাস দিয়ে আঘাত করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ভাঙ্গা গ্লাস উদ্ধার করে।
এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল পুলিশ আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়।