অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইমান আলী শেখ বুধবার এ সাজা ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে হবে, যা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অতিরিক্ত পিপি এএসএম নজরুল ইসলাম বকুল এ তথ্য জানান।
দণ্ডিতরা হলেন সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের মোসলেম গাজীর ছেলে আবু বক্কার ওরফে বাক্কার, বালিয়া ভেকুটিয়ার মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে এনামুল হক সরদার, আমিনউল্লাহর ছেলে কবির বেপারি, লিয়াকত আলীর ছেলে বিপ্লব মিয়া, ভেকুটিয়া কলোনির আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে তাহের হোসেন, ফরিদপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু, আলী আহম্মদের ছেলে আনিছ, চানপুর গ্রামের মেহের আলী মন্ডলের ছেলে কামারুল মন্ডল ও আলমনগরের মাওলা বক্সের ছেলে আজম ফকির।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইনছানুল হক ২০০৫ সালের ৮ জুলাই রাতে ঝিকরগাছার কায়েমকোলা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ছেলে জুয়েলকে সাথে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার ডাকাতদের কবলে পড়েন। সেখানে ডাকাতদের মারপিটে নিহত হন তিনি।
পিপি নজরুল জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইয়ারুল হক জুয়েল বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা ও ডাকাতির মামলা করেন।
তদন্ত শেষে নয় জনের নামে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (ওসি) বেলায়েত হোসেন।
সাজাপ্রাপ্ত এনামুল হক, করিব, আনিছ, বিপ্লব মিয়া, কামারুল মন্ডল ও আজম ফকির পলাতক রয়েছেন বলে জানান পিপি নজরুল।