শৌচাগারের ফোকর দিয়ে পালাল আসামি

নেত্রকোণার পূর্বধলা থানা থেকে হত্যা মামলার এক আসামি শৌচাগারের ফোকর দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2017, 03:57 PM
Updated : 11 Oct 2017, 03:57 PM

বুধবার ভোরে পালানোর পর থেকে রুবেল মিয়া (২৫) নামের ওই আসামির কোনো খোঁজ মেলেনি বলে পূর্বধলা থানার ওসি অভি রঞ্জন দেব জানিয়েছেন।

রুবেল মিয়া পূর্বধলা উপজেলার গরুয়াকান্দা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

ওসি অভি রঞ্জন দেব জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রুবেল মিয়া শৌচাগারে যান। সেখান থেকে বায়ু চলাচলের ফোকর দিয়ে সুকৌশলে তিনি পালিয়ে যান।

“ফোকরের লোহার রডগুলো জং ধরা হওয়ায় এবং তার শরীর চিকন হওয়ায় তিনি সহজে পালান।”

ওসি জানান, ওই সময় থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই এসএম মোজাম্মেল। এছাড়া ওই আসামির দায়িত্বে তফাজ্জল হোসেন, মানিক মিয়া, মাসুদ রানা, ও কামরুল ইসলাম নামে চারজন কনস্টেবলও ছিলেন। তাদের মধ্যে তফাজ্জল হোসেন সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলেন।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম বলেন, পলাতক ওই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পালিয়ে যাওয়ায় তার নামে আরও একটি মামলা হয়েছে।

“পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান তিনি।

রুবেলের নামে দুর্গাপুর থানায় আরও একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

পূর্বধলা থানা পুলিশ জানায়, রুবেল মিয়া পূর্বধলার গায়লাপাড়া গ্রামের মোটর সাইকেল চালক মো. কাকন মিয়া (২৫) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

গত ২৫ অগাস্ট রাতে পূর্বধলা-ডেওটুকোন সড়কের ছোচাউড়ায় যাত্রীবেশী দুবৃর্ত্তরা কাকন মিয়ার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে ছেলের উপর হামলার খবর শোনার পর কাকনের বাবা আবুল কাশেমও (৬৫) ওই রাতেই মারা যান।

কাকনের মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর ২৮ অগাস্ট রাতে ওই হত্যায় জড়িত অভিযোগে ময়নুদ্দিন রহমান (২২) নামে এক যুককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।