বুধবার শহরের রশিদ কলোনির সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে বলে সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলমগীর আলো ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনসহ চার জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
২০১৫ সালে গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের মামলায় গত সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে কুমিল্লার একটি আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চেয়ার পারসন খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে রশিদ কলোনির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে দুপক্ষের বাককিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লিয়াকত আলী খান বলেন, “পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের গুলি ও বেধড়ক লাঠিপেটায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।”
আহতেদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমানের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি।
এই পর্যন্ত বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওসি আনোয়ার বলেন, বিএনপি কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে পুলিশ তাদের নিষেধ করে। এ সময় মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া লোকজন পুলিশের দুটি গাড়ি ও সড়কের পাশে বিভিন্ন দোকানপাট ভাংচুর করে।
“এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে।”
বিএনপি কর্মীদের ইটের আঘাতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান ওসি।
ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।