মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোলপ্লাজা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে ২০১৫ এর ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে বাসটির আট যাত্রীর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করে। পরে খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এ মামলায় সোমবার খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার একটি আদালত।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “আদালতের কোনো আদেশ বা রায় যখন সরকারের বিরুদ্ধে যায়, তখন বিএনপির খুশি রাখার জায়গা থাকে না, খুশিতে তারা আটখানা হয়ে যায়। আবার যখন বিপক্ষে যায়, তখন আদালতের রায়ের বিপক্ষে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করে।
“এর অর্থ হচ্ছে আদালতের রায়কে অমান্য করা। আমার প্রশ্ন-তারা কী আদালতের রায়কে অমান্য করতে চান?”
সরকার ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির দ্বি-চারিতা কেন জানতে চান সেতুমন্ত্রী।
এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আদালতের যে বিচারক রায় দিয়েছেন তাকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে রায় দিয়েছেন কি না। আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে তাদের দ্বি-চারিতা কেন?”
মহাসড়ক রক্ষা করার জন্য নভেম্বর থেকে ‘ওজন স্কেলের নীতিমালা’ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হুমায়ুন কবির ও সড়ক ও জনপথের বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।