টাঙ্গাইলের র্যাব-১২ এর কার্যালয়ে কোম্পানি অধিনায়ক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান তিনি।
আটকরা হলেন নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার শেখুপুরের শফিকুল ইসলামের ছেলে সম্রাট মিয়া (২১) এবং সিরাজগঞ্জের সাহেদনগরের মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে শাহাদত হোসেন ওরফে আমির হামজা (২২)।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডের একটি বাড়িতে কয়েকটি বিকট বিস্ফোরণ হয়। পরদিন ধ্বংস্তূপে তল্লাশি চালিয়ে সাতজনের খুলি ও পোড়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
ছয়তলা ভবনটির পাঁচতলায় আব্দুল্লাহ দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ওসামা (১০) ও ওমর (৩) এবং দুই কর্মচারীসহ থাকতেন।
সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে দুই সহোদর জঙ্গিকে র্যাব আটক করে। রিমান্ডে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিক্তিতে ১ অক্টোবর জামালপুর থেকে মো. মোক্তারুল ইসলাম নামের আরেক জঙ্গিকে আটক করা হয়।
“এই তিনজনের দেওয়া তথ্যের ভিক্তিতে গতকাল রাতে র্যাব-১২ এর একটি দল সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে সম্রাট ও শাহাদতকে আটক করে।”
র্যাব কর্মকর্তা জানান, আটক শাহাদত নারায়ণগঞ্জের জামিয়া হোসাইনিয়া আরাবিয়া হাজিগঞ্জ মাদ্রাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করেছেন। সম্রাট নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের মহুয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশের পর রাজধানীর একটি গার্মেন্টসে চাকনি নেন।
“তারা দুজনেই ২০১৩ সালের দিকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন বেনামি আইডি থেকে জিহাদি পোস্ট দিয়ে আসছিলেন। তারা অন্য জঙ্গি সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন।”
“সম্প্রতি র্যাবের অভিযানে মিরপুরে নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর বাড়িতে গত ২৫ অগাস্ট এ দুজন এক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।”
আটক সম্রাট ও শাহাদতকে গত ৫ সেপ্টেম্বর কালিহাতী থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান জাহাঙ্গীর।