যবিপ্রবিতে হামলা: দুই মামলার তদন্ত চলবে একসঙ্গে  

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মশিউর রহমান হলে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আহসান হাবিবের দায়ের করা আলাদা অভিযোগের তদন্ত হবে একসঙ্গে, একটি মামলা হিসেবে।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2017, 08:58 AM
Updated : 9 Oct 2017, 09:16 AM

কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। অভিযোগগুলো একটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত করা হবে।”

গত ৫ অক্টোবর রাতে শহীদ মশিউর রহমান হলে সরকারসমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একপক্ষের হামলায় সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিসহ সুব্রত বিশ্বাসসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

ওই হামলার জন্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির শিক্ষার্থী এস এম শামীম হাসানসহ ২৫ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন সুব্রত।

মামলার বিবরণে বলা হয়, সেদিন রাতে ৩০/৪০ জনের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসের মূল ফটক দিয়ে ভেতরে ঢোকে এবং সেখানে কর্তব্যরত আনসার সদস্য সোহেল রানা, নাসির হোসেন এবং উজ্জ্বল মণ্ডলকে রড দিয়ে মারধর করে। পরে তাদের কাছে থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাদের জিম্মি করে রাখে।

“পরে শামীমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা শহীদ মশিউর রহমান হলে ঢুকে তৃতীয় ও পঞ্চম তলার কক্ষগুলোতে গিয়ে ছাত্রদের মারধর শুরু করে। এসময় তারা ছাত্রদের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, এক লাখ ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।”

হামলাকারীরা পরে হাতবোমা ফাটিয়ে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে লুট করা মামলামাল নিয়ে পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয় মামলার এজাহারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার একই দিনে সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০/৪০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।

এ মামসলার আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীম হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র ছাত্রলীগ মশিউর রহমান হল শাখার সভাপতি বিপ্লব কুমার দে, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র ও বিভাগের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বাগেরহাট সদর থানার হাকিমপুর গ্রামের শেখ আলতাফ হোসেনের ছেলে তানভীর ফয়সাল, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ঝিনাইদহের শৈলকূপা গ্রামের বধূপুর গ্রামের মুন্সী গোলাম মোস্তফার ছেলে আল মামুন সিমন, একই বিভাগের ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ঢাকার আশুলিয়া থানার সাভার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ধলপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মাসুদুর রহমান রনি, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক এবং ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রমের হারুন অর রশিদের ছেলে তানভীর আহমেদ তানিন এবং একই বিভাগের ছাত্র ও বিভাগ শাখা ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিবুনিয়া গ্রামের শহিদ খন্দকারের ছেলে আশিক খন্দকার।

সেদিন হামলায় মোট ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রেজিস্ট্রারের করা মামলায়।

হামলার ঘটনার পর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।