নিহত সাইদুর রহমান (৩৮) কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের কাজেম আলীর ছেলে।
নিহত সাইদুরের স্ত্রী নাদিরা বেগম ও বোন তাজমা বেগমসহ গ্রামবাসী জানান, সোমবার ভোরে শাপলা হোসেন (৩২) নামে এক আসামিকে ধরতে যায় পুলিশ।
শাপলাকে না পেয়ে পুলিশ তার স্বজনদের মারধর করে বলে তাদের অভিযোগ।
তারা বলেন, এ সময় শাপলার চাচা সাইদুর রহমানকে এসআই আসাদুজ্জামান ও রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা বলেন, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে পুলিশকে ঘেরাও করে এলাকাবসী বিক্ষোভ দেখায়। পরে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠি চার্জ করে, গুলি ছোড়ে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “আসামির আত্মীয়স্বজন পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে এ অনভিপ্রেত এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কালাই থানার চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
বরখাস্তকৃতরা হলেন - এসআই আসাদুজ্জামান আসাদ ও রফিকুল ইসলাম রফিক, কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম ও সেলিম রেজা।