শিশু দুটির বাবা সাজু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, রোববার দুই শিশুকে নিয়ে তারা ঢাকা রওনা হবেন।
সাজু মিয়া জানান, তাদেরকে স্থানীয় দুজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ডাক্তাররা তহুরার প্রস্রাবসহ কয়েকটি পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
“বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা দুইজনকেই ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।”
তোফা-তহুরার মা শাহিদা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল তোফা-তহুরা। এখন তাদের জ্বর নেই; কিন্তু তহুরা ঘনঘন প্রস্রাব করছে। প্রস্রাবের রঙ ঘোলা এবং তাতে তীব্র গন্ধও রয়েছে। কোনো কিছু খেতে চায় না।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবনের কৃষক রাজু মিয়ার এই জমজ শিশু জোড়া লাগানো অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছিল গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর।
তোফা আর তহুরার পিঠের দিক থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত মেরুদণ্ডের হাড় সংযুক্ত ছিল। মাথা-হাত-পা আলাদা হলেও তাদের মলদ্বার ছিল একটি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’।
গত পহেলা অগাস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে দুই বোনকে আলাদা করেন চিকিৎসকরা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর তাদের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাঁশদহ গ্রামে নানার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।