শনিবার রংপুরে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটি পাওয়ারের কারণেই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়। একটা হলো মানি পাওয়ার, আরেকটা মাসল পাওয়ার। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এ দুটি পাওয়ার জটিলভাবে কাজ করে।
“তবে আগামী নির্বাচনে এ দুটি পাওয়ারের কোনো দাপট থাকবে না। আগামী নির্বাচন হবে আমাদের অস্তিত্বের নির্বাচন। নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কোনো ধরনের গাফিলতি ও অনিয়ম বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দেন ইসি মাহবুব।
দুপুরে রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কবে হবে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে ইসি মাহবুব বলেন, “এর জবাব আমি দেব না। এটা বলবেন নির্বাচন কমিশন সচিব।”
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, “যদি কোনো ধরনের আইনি জটিলত না আসে তাহলে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এজন্য নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
অনুষ্ঠানে ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ রাজনীতিক মোহাম্মদ আফজাল এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইসি মাহবুব তালুকদার। এরপর আরও ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ, রংপুর পুলিশ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বসির আহমেদ বক্তব্য দেন।