যবিপ্রবি হলে হামলা, ছাত্রলীগ নেতাসহ আহত ৩০

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একটি হলে হামলা করেছে একদল যুবক। এ সময় তাদের মারধরে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2017, 10:43 AM
Updated : 6 Oct 2017, 11:05 AM

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মশিউর রহমান হলে এ হামলা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানিয়েছে।

ওই সময় বিকট শব্দ শোনা যায় বলে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীমের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে সংগঠনের নেতা ও পুলিশের ভাষ্য। 

আহতদের মধ্যে রয়েছেন হল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, ছাত্রলীগ নেতা হিমেল, তারেক হাসান, সোহান, আরাফাত, রাসেল, জাকারিয়া, সৌরভ, সোহরাব হোসেন। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

আহতদের কেউ কেউ রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুব্রতসহ কয়েকজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ জানালার গ্লাস ভাঙ্গার শব্দ পান তিনি।

“এরপর বেশ কয়েকবার বিকট শব্দ হয়। ধারণা করা হচ্ছে বোমার শব্দ। এরপর গুলিবর্ষণের শব্দ পাওয়া যায়।”

তিনি বলেন, ওই সময় ওই হলে থাকা শিক্ষার্থীরা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে। এরপর হলের মধ্যে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসীরা। তাদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার পাইপ, লাঠি, বোমা ছিল।

“তারা সুব্রত বিশ্বাসের রুমে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। হামলাকারীরা অন্যান্য রুমেও যায় এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মারপিট এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর চলে লুটপাট।”

ছাত্রদের কাছ থেকে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনসেট, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেয় বলে জানান সোহেল।

সংবাদ পেয়ে ঘণ্টাখানেক পর সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্প, কোতয়ালি থানা থেকে পুলিশ গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি বগুড়া থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ছিলেন না। তবে শুনেছেন রাতে শহীদ মশিউর রহমান হলে হামলা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রক্টর মিজানুর রহমান বলেন, রাতে ওই হল এলাকায় বিকট শব্দ শোনা গেছে। কতজন আহত হয়েছে এই বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। লুটপাটের বিষয়টিও তিনি পরিষ্কার না।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীমের নেতৃত্বে ওই হামলা হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন বলে জানান।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার মিয়া বলেন, “আমি সকালে জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হামলা বা মারামারি হয়েছে। বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার না। তবে হল দখল নিতে ওই হামলা বলে শুনেছি। বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানতে পেরেছি।”

এখনও কেউ অভিযোগ থানায় দেয়নি বলে তিনি জানান।