পুঠিয়া থানায় ওসি সায়েদুর রহমান জানান, বুধবার রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বটতলা-কার্তিকপাড়ার মাঝামাঝি কাজুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ওসি বলেন, রাতে কাজুপাড়া বিলের একটি পুকুর পাড়ে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে কয়েকজন রাতভর তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার ভোরে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তারা থানায় এসে অভিযোগ দেন।
“ভোরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে সাত জনকে গ্রেপ্তার করে।”
ওসি জানান, দুপুরে ওই গৃহবধূকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
আর গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তাররা হলেন পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে নবীর উদ্দিন (২৮), জফেরের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৩৫), আবু বক্করের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৭), আফসার আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৭), আবু সাইদের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫), ছোট কাজুপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪২) ও গোপালপাড়া গ্রামের মহরম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।
গৃহবধূর স্বামী জানান, বুধবার বিকালে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়ি বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ভ্যানযোগে তারা বিলমাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরছিলেন।
“পথেই বটতলা-কার্তিকপাড়া এলাকার মাঝামাঝি এলাকায় আনুমানিক রাত ৮টার দিকে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের মাছ চাষি নবির উদ্দিন ও মিজান আলীসহ ৭ থেকে ৮ জন তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে।
“এরপরে ধারালো অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক তাদের ভ্যান থেকে নামিয়ে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি গাছে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে পুকুর পাহারা দেওয়ার টঙে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে।”
ভোরে আযান দেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দিলে তারা সরাসরি থানায় চলে যান।