নীলফামারীর চার বিলুপ্ত ছিটমহলে অধিবাসী শুমারি শুরু

নীলফামারীর চার বিলুপ্ত ছিটমহলে অধিবাসী শুমারি শুরু হয়েছে।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2017, 10:09 AM
Updated : 5 Oct 2017, 10:09 AM

বৃহস্পতিবার ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ি নয়াবাংলা গ্রামে (বিলুপ্ত ২৮ নম্বর বড় খানকি খারিজা গিতালদহ ছিটমহল) অধিবাসী শুমারি শুরু হয় বলে ডিমলা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এমদাদুল হক খান জানান।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে শুরু হওয়া এ শুমারি চলবে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত। এর বাস্তবায়ন করবে ডিমলা উপজেলা পরিসংখ্যান দপ্তর।

এমদাদুল হক খানের নেতৃত্বে শুমারি কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে রয়েছেন দপ্তরটির কণিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারী আসাদুল হক। তাদেরকে সহযোগিতা করছেন বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিক অধিকার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এমদাদুল বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর নির্ধারিত ফরমে ব্যক্তির নাম, বাবা ও মায়ের নাম, ঠিকানা, পেশা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক অবস্থা, বৈবাহিক অবস্থা, অবকাঠামোসহ ৮১ ধরনের তথ্য লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।

“শুমারির মূল উদ্দেশ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকদের একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা। যাতে করে সেখানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন সহজ হয়।”

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, শুমারি থেকে কোনো বাসিন্দা যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে নজর রাখা হবে। তথ্য ভাণ্ডার তৈরিতে দায়িত্বরতরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন।

পূর্বের গণনা অনুযায়ী নীলফামারীর বিলুপ্ত চার ছিটমহলের ১১৯ পরিবারের লোক সংখ্যা ৫৪৫জন। এর মধ্যে ২৮১ জন পুরুষ এবং ২৬৪ জন নারী।