বুধবার কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আওলাদ হোসেন ভুইয়া এ রায় দেন।
দণ্ডিত শাহিন মিয়ার বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের তাতালচর গ্রামে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশু পিতৃত্ব, ভরণ-পোষণসহ উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পত্তির অংশ দেওয়ার জন্য আসামি নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আসামি ওই দায়িত্ব পালনে অপারগ হয় হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিচারক প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন পিপি এম এ আফজল।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা নেই। আট বছর বয়সী ছোট ভাইকে নিয়ে গ্রামে থাকত আর তাদের মা ঢাকায় চাকরি করতেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী শাহিন মিয়া তাকে নিয়মিত অশালীন প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
“এ পর্যায়ে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ রাতে তাদের বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেয়। পরবর্তীতে শিশুটির পিতৃত্বের অধিকার নিয়ে কিশোরী বিচার প্রার্থী হলে আসামি তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।”
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৬ জুন শাহিন মিয়াকে আসামি করে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। মামলা পর আসামি পালিয়ে যায় বলে জানান পিপি।