মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি এ কথা জানান।
নালিতাবাড়ী পৌর শহরের মৃত বিধান চন্দ্র দের ছেলে বিশ্বজিৎ চন্দ্র দে (২০) পুলিশের নির্যাতনে মারা যান বলে রোববার অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।
ঘটনার পর থেকে নালিতাবাড়ী থানার ওসি এবং মঙ্গলবার পুলিশ সুপারও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ওই যুবককে নির্যাতন করা হয়নি দাবি করে নালিতাবাড়ি থানার হাজতখানা ও থানার প্রবেশদ্বারে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয় সাংবাদিকদের।
মৃত বিশ্বজিতের বোন শিউলি দে বলেন, ২ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে বিশ্বজিৎকে আটক করে পুলিশ। পরে এলাকাবাসী এবং স্থানীয়দের অনুরোধে মুচলেকা রেখে পরিবারের কাছে ছেড়ে দেয়।
পুলিশের নির্যাতনেই বিশ্বজিৎ মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, “বিশ্বজিতের মৃত্যুর খবরে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কিছুলোক অসৎ উদ্দেশে’ তার আত্মীয়-স্বজনকে ভুল বুঝিয়ে মাইকে বিভিন্ন অপপ্রচার করে ও গুজব রটিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করে।
বিশ্বজিতের সুরতহাল রিপোর্টে শরীরের কোথাও নির্যাতনে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।”
সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে তিনি দাবি করেন, ওই যুবক সুস্থভাবে হাজত খানায় প্রবেশ ও বের হয়েছে। তাকে কোনো রকমের নির্যাতন করা হয়নি।
“বিশ্বজিৎ বেশ খোশমেজাজে হাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার আত্মীয়ের হাত ধরে থানা থেকে বের হয়ে যান।”
২ অক্টোবর ‘আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর’ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার রফিকুল বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।