এছাড়া আরও দুইজনকে তিন বছর ও তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৪টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরুজা পারভিন এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার জিলুয়া গ্রামের গৌর মোহন দাস, দিলীপ দাস, সমীর দাস ও তপু দাস। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
তিন বছর দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন একই গ্রামের গণেশ দাস ও গৌরাঙ্গ দাস। তাদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া রামু দাস, নীল মোহন দাস ও রামচরণ দাসকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় রামু দাস ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আব্দুল আহাদ ফারুক জানিয়েছেন।
তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ২৪ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০০১ সালের ১০ নভেম্বর জিলুয়া এলাকায় চাউলেরবন্দ জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের পবনেন্দ্র চৌধুরীর ছেলে গৌরব চৌধুরীর (২৫) সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় আসামিদের। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে গৌরবকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহত গৌরবের বড় ভাই গৌরাঙ্গ চৌধুরী বাদী হয়ে ৩৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৩৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলায় ২৫ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পিপি।