জেলা শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে জেলা তাঁতি লীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রবি এই অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের এই নেতা।
তবে ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এমদাদুল হক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রবিউল বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে পীরগঞ্জ উপজেলা শহরের বাঁশগাড়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান তিনি।
“এ সময় এমদাদুল ও তার লোকজন আমাকে চরথাপ্পরসহ বেধড়ক মারধর করেন। পরে আমি গাড়িতে ওঠার পর সাংসদের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার গাড়ি ভাংচুর করে।”
পরে তিনি থানায় যাওয়ার পথেও তার উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন।
ঘটনার পরদিন তিনি পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলেও সেটা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি বলে তার অভিযোগ।
তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ বলেন, “ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করব।”
এমদাদুল হকের দাবি, একটি ‘কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালিয়ে তার সুনাম নষ্ট করার’ চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কেউ কখনও আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে পারবে না।
“রবিউল ইসলাম রবি আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার এত দিনের রাজনৈতিক জীবনের অর্জন নষ্ট করার জন্য এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”