মৃত বিশ্বজিৎ চন্দ্র দে (২০) পৌর শহরের মৃত বিধান চন্দ্র দের ছেলে। পেশায় কাঠমিস্ত্রী ছিলেন তিনি।
রোববার রাতে পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই যুবকের বোন শিউলি দে।
নির্যাতন তো দূরের কথা পুলিশ তার গায়ে টোকাও দেয়নি দাবি করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ওসি এ কে এম ফসিহুর রহমান।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ৫০/৬০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয় বিশ্বজিৎকে। এর পর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং তার স্বজনদের অনুরোধে মুচলেকা রেখে সুস্থ অবস্থায় তাকে রাত সোয়া ১০টায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।
“তাকে নির্যাতন তো দূরের কথা তার গায়ে টোকাও দেয়া হয়নি।”
শিউলি দে বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে বিশ্বজিৎকে আটক করে পুলিশ। পরে এলাকাবাসী এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে মুচলেকা রেখে পরিবারের কাছে ছেড়ে দেয়।
পুলিশের নির্যাতনেই বিশ্বজিৎ মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্বজিৎ কীভাবে মারা গেছে তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, বিশ্বজিৎ দের পরিবারের তরফ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে লাশ বিশেষ নিরাপত্তায় ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তে নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে সোমবার পৌর শহরে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং বিশ্বজিতের লাশ বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।