নড়াইলে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কারাগারে

দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের করাদণ্ডে দণ্ডিত নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। 

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2017, 08:03 AM
Updated : 2 Oct 2017, 09:28 AM

যশোরের বিশেষ জেলা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা সোমবার এ আদেশ দেন।

নড়াইলের রূপগঞ্জ পশুরহাটের ইজারা নিয়ে দুর্নীতি মামলায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ আদালতেই সোহরাবসহ সাত আসামির সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় আসে।

সেইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেকেকে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।

এ আদালতের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, এ মামলায় জামিনে থাকা সোহরাব হোসেন রায় ঘোষণার দিন আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে সেদিন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।  

তার ছয় দিনের মাথায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজির হয়ে সোহরাব হোসেন জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক আসামির আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান পিপি।  

এ মামলায় দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন কমিশনার শরফুল আলম লিটু, মুশফিকুর রহমান, আহম্মদ আলী খান, রফিকুল ইসলাম ও তেলায়েত হোসেন। রায়ের দিনই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে সোহরাব হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুহাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়।

এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক ড্রাফট হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন।

“পরে তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে অব্যাহতির আবেদন করেন। ওই আবেদনে তৎকালীন পৌর কমিশনার (বর্তমানে মেয়র) জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ ছয় কমিশনার (কাউন্সিলর) ও ভারপ্রাপ্ত সচিব সুপারিশ করেন। মেয়র হিসেবে সোহবার তা মঞ্জুর করলে ইজারাদারকে তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।”

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৭ অগাস্ট আটজনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।

এজাহারে বলা হয়, নতুন করে ইজারা না ডেকে আসামিরা ‘অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে’ ওই হাট তিন বছর ধরে খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করে এবং তা ‘আত্মসাৎ করেছেন’।

মামলার বিচার চলাকালে আসামিদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানান সিরাজুল।