রোববার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের উস্কানির আমরা জবাব দেই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণই আমরা করি।
“যুদ্ধ নয়, কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা আশাবাদী।”
সোমবার মিয়ানমারের এক মন্ত্রী বাংলাদেশে আসছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তিনি এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট ও সমস্যা নিয়ে দুদেশের মন্ত্রী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে।”
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের ভূ-খণ্ডে কোনো সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠির জায়গা নেই। আমরা এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না।”
সে ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
রোহিঙ্গা সংকট ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ সুনাম কুড়িয়েছে বলে মন্তব্যও করেন তিনি।
এর আগে বেলা ১২ টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবির হেলিকপ্টারে করে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন হেলিপ্যাডে নামেন।
এরপর তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শনে যান। সেখানকার তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপরই তিনি ঘুমধুম সীমান্তের কোনারপাড়া সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিদর্শনে যান।
বেলা আড়াই-টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা দেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান, পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন, বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।