বিজয়া দশমীতে গোপালগঞ্জে নৌকা বাইচ

দুর্গা পূজার বিজয়া উপলক্ষে গোপালগঞ্জের তিনটি স্থানে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2017, 04:08 AM
Updated : 1 Oct 2017, 07:33 AM

মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগরের কুমার নদ, কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘরের ঘাঘর নদী ও সদর উপজেলার মধুমতি বিল রুট ক্যানেলে শনিবার বেলা ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা হয়।

বাইচ দেখতে সকাল থেকেই বিভিন্ন বয়সী লাখ লাখ দর্শক ঘটনাস্থলে হাজির হতে থাকেন। গোপালগঞ্জ ছাড়াও মাদারীপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শতাধিক সরেঙ্গা, ছিপ, কোষা বাচারী নৌকা এতে অংশ নেয়।

দিগনগরের বাইচ প্রতিযোগিতায় অন্তত ১৫টি নৌকা অংশ নেয়। সন্ধ্যায় মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম সিকদার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করেন।

কোটালীপাড়ায় শত বছরেরও বেশী সময় ধরে বিজয়া দশমীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সহযোগিতায় কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ঘাঘর বাজার বণিক সমিতি এ নৌকা বাইচের আয়োজন করে।

নানা রঙ্গের বাচারী নৌকা ছাড়াও নারীদের বাচারী নৌকা প্রতিযোগিতার প্রধান আকর্ষণ ছিল। কোটালীপাড়ার আশেপাশের এলাকা ছাড়াও মাদারীপুর বাগেরহাট ও বরিশাল জেলা থেকে অনেক দর্শক এ বাইচ উপভোগ করতে আসেন।

প্রতিযোগিতা শেষে মুজিবুর রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মুজিবুর বলেন, “কথিত আছে যে- আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে যশোরের বিঘাপতির জমিদার খাজনা আদায়ের সুবিধর জন্য ঘাঘর নদীতে দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীর দিন মেলা ও নৌকা বাইচের আয়োজন করতেন। ওই সময় থেকে প্রতিবছর দুর্গা পূজার সময় এখানে বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।”

তিনি বলেন, এলাকার অধিকাংশ লোকই প্রতি বছর ধরে এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে। অনেকে গ্রামের বাইরে গিয়ে নানা কাজে শহরে জীবন যাপন করেন। কিন্তু এই দিন তারা কাটান একেবারেই গ্রাম্য পরিবেশে আর গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে।

এছাড়া সদর উপজেলার সাতপাড়ে মধুমতি বিলরুট ক্যানেলে শত বছর ধরে বিজয়া দশমীর দিনে নৌকা বাইচ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে সাতপার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজিত কুমার মণ্ডল জানান।