ভাষাণ চরে রোহিঙ্গারা নজরদারিতে থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নোয়াখালীর ভাষাণ চরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হলেও তারা নজরদারিতে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2017, 02:47 PM
Updated : 28 Sept 2017, 04:39 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য নির্ধারিত ভাষাণ চর (ঠেঙ্গার চর) পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নোয়াখালীবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। রোহিঙ্গারা কী করবে না করবে, সব কিছু প্রশাসনের নজরদারিতে থাকবে।

“সবকিছু মাথায় রেখে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে তাদেরকে এখানে আনা হবে।”

ভাষাণ চরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘সুন্দর আবাসন এলাকা’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এখানে থাকার জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী নৌ বাহিনীকে সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মিয়ানমারে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে ৯ লাখের মতো রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে রয়েছে।

গত কয়েক দশক ধরে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে ছিল চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

এই শরণার্থীদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার তথ্য আসে সরকারের কাছে। শরণার্থীদের কারণে সামাজিক সমস্যা এবং কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে দেখছিল সরকার।

 

এসব সমস্যা ছাড়াও মানবিক কারণে কক্সবাজারে গাদাগাদি করে থাকা রোহিঙ্গাদের ভাষাণ চরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে সরকার।

এর মধ্যেই গত মাসে মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা দেখা দিলে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। এক মাসেই নতুন করে ৫ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। 

এই রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য নির্ধারিত স্থান ভাষাণ চরে দুপুরে হেলিকপ্টারে নামেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী; প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।

 

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. মনিরুজ জামান, প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলাম খান, জেলা প্রশাসক মাহবুল আলম তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ।