বৃহস্পতিবার বিকালে জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানি সৈকতের পাথুয়ারটেক এলাকায় সাগর থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয় বলেকক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল।
নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
এছাড়া এ সময় আরও চারজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী বলে জানান তিনি।
“সাগরে আরও লোক ভাসছে। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।”
মৃতদেহ ইনানি পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নৌকা ডুবির এই ঘটনার দিকটি দেখিয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের মিশন প্রধান এদুয়ার্দো বেইগবেদার বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা কতটা নিরুপায়, তা এই ঘটনা আবার তুলে ধরল।
মিয়ানমারের রাখাইনে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সেনা ক্যাম্পে গত ২৪ অগাস্ট রাতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। তখন থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত চলছে।
রাখাইনে পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো থেকে পায়ে হেঁটে যারা বাংলাদেশ সীমান্তে আসতে পারছেন, তারা মংডু থেকে মাছ ধরার নৌকায় করে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এ সময় নৌকা ডুবে মারা যাচ্ছে অনেক নারী ও শিশু।