আদালতের নিদের্শের পর বৃহস্পতিবার কাশিয়ানী থানায় মামলা নথিভুক্ত হয় বলে ওসি একেএম আলী নুর হোসেন জানান।
তিনি বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর কাশিয়ানীর এক গৃহবধূ গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি পিটিশন দায়ের করেন। বিচারক মো. দলিল উদ্দিন পিটিশিন গ্রহণ করে কাশিয়ানী থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
“বৃহস্পতিবার কোর্টের আদেশের কপি হাতে পেয়ে ইউপি সদস্যসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।”
আসামিরা হলেন- উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইমদাদুল হক মোল্যা (৪০), সাধুহাটি গ্রামের রফিক মোল্যা (২৫), ইবাদ মোল্যা (৪০) ও স্বপন মোল্যা।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী কয়েকদিনের জন্য বাড়ির বাইরে যান। এ সুযোগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ইউপি সদস্য ইমদাদুলসহ অন্য আসামিরা ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার করেন। এ সময় আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে দলেবেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
অভিযোগ অস্বীকার ইউপি সদস্য ইমদাদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ও আমার সমর্থকদের ফাঁসাতে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেছে।”
আদালতের নির্দেশনা মতে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি আলী নুর।