বুধবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঘিওর থানার ওসি রবিউল ইসলাম।
গ্রেপ্তার সঞ্জিত কুমার ঘোষ (৩০) উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের মৃত নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কল্পনা রানি ঘোষের (২৫) লাশ উদ্ধার করা যায়নি বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, সাত বছর আগে কল্পনা ও সঞ্জিতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের কলহ লেগেই ছিল। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রোববার বিকালে স্ত্রীর জন্য শাড়ি কিনেন সঞ্জিত।শাড়ি পছন্দ না হওয়ায় দুজনের ঝগড়া হয়।
“ঝগড়া এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার পর লাশ নিজের অটোরিকশায় করে উপজেলা সদরের একটি বেইলি ব্রিজ থেকে ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেন। পরের দিন স্ত্রী নিখোঁজ জানিয়ে ঘিওর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।”
জিডি তদন্তের একপর্যায়ে হত্যার ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে বুধবার সকালে সঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সঞ্জিতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধলেশ্বরী নদীর বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও সন্ধ্যা ওই গৃহবধূর লাশ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা কালীপদ ঘোষ বাদী হয়ে সঞ্জিতসহ অজ্ঞাত আরো চার/পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।