সোমবার দুপুরে তাকে আটক করা হয় বলে জানান মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান।
আটক নাহিদ হায়দার আইবিএর নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
ওসি বলেন, “আইবিএর এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনা শুনে সেখানে গিয়ে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছি। তবে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মারধরের শিকার অধ্যাপক হাসনাত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, “ইন্টার্নশিপ পেপারের জন্য রোববার নাহিদের আমার চেম্বারে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে আসেনি। আজ বেলা দেড়টার দিকে সে আমাকে ফোন দেয়। তখন আমি বাইরে কাজে ব্যস্ত থাকায় তাকে আড়াইটায় আসতে বলি।
“এরই মধ্যে সে প্রক্টর দপ্তরে গিয়ে তাকে দিয়ে আমাকে ফোন করায়। আড়াইটার পরে ক্লাসে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় সে আসে। তখন তাকে ক্লাসের পরে আসতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে নানা রকম বাজে কথা বলে ও মারধর করে।”
তবে নাহিদ বলেন, “স্যার আমার বাবা মাকে তুলে গালিগালাজ করে। এতে আমার প্রচণ্ড রাগ ওঠে। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি।”
আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, নাহিদকে ঘটনার পরই পুলিশে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, “দুপুরে ওই শিক্ষার্থী এসে বলে যে, আজ আমার থিসিস পেপার জমা দেওয়ার শেষ দিন। স্যার আমার পেপারে স্বাক্ষর করছেন না। তখন আমি হাসনাত স্যারকে বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলি।”
“আমি যখন শুনেছি, ওই শিক্ষককে সে মারধর করেছে। তখন সঙ্গে সঙ্গে দুজন সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ পাঠিয়েছি।”
ওই শিক্ষকের পক্ষ থেকে অভিযোগ এলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।