সোমবার শহরের সদর রোড এলাকার একটি সামাজিক সংগঠনের সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মোসাম্মদ নারগিস বেগম।
তিনি রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড় এলাকার মো. খায়রুল মীরের স্ত্রী। নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান চেয়ে জিডি করতে গিয়ে তিনি হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি মুনীর উল গীয়াস।
লিখিত বক্তব্যে নারগিস বেগম বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর তার স্বামী নিখোঁজ হন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় স্বামীর খোঁজ চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে যান তিনি।
“পুলিশ নিখোঁজের ডায়েরি না নিয়ে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর ফের থানায় গেলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে জিডির একটি রিসিভ কপি দেয়। বাড়ি ফিরে কপিটি সবাইকে দেখালে জানতে পারি, আমার স্বামী একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী এবং মাদক আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।”
কেবল স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন হওয়ায় জিডিতে কী লেখা হয়েছে থানায় বসে তা বুঝতে পারেন নি বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র তার স্বামীকে অপহরণ করে গুম করেছে বলে ধারণা করে প্রথমে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মুনীর উল গীয়াস তা না নিয়ে খারাপ ব্যবহার করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন।
এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওসির সখ্যতা রয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে মাসোহারা নেন বলে অভিযোগ করেন নারগিস বেগম।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি মুনীর উল গীয়াস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই নারীর জিডি যেদিন রেকর্ড করা হয় সেদিন আমি থানায় ছিলাম না। ডিউটি অফিসার জিডিটি নথিভুক্ত করেন।”
হয়রারি ও থানা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবী করে ওসি বলেন, যাকে নিখোঁজ বলা হচ্ছে তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি। আর জিডির পরে নিখোঁজ ব্যক্তির ভাই একটি মামলা করলে আদালতের নির্দেশে তা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।
ওই মামলার তিন আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।